Posts

Showing posts from January, 2021

মাছের ছানা

মাছের ছানা চোখ কি কানা? না-না-না-না। কে বলেছে কানা? চোখ যদি তার হতো কানা ক্যামনে তবে খায় সে দানা?

হই যদি বন্য

মাঝে মাঝে হই যদি আমি খুব বন্য, মনে রেখো, সব “তোর,” “তোমাদের” জন্য। মাঝে মাঝে আমি যদি হই খুব খেয়ালী, মেচিউর নই আমি? ভেবো নাকো হেয়ালী। মাঝে মাঝে হেরে যাই হেরে গিয়ে জিতে যাই। নয় এ যে হেয়ালী, এ যে ছিলো খেয়াল ই। 14-03-2017

জীবনটা কী?

আমি যখন একলা থাকি কান্না হাসি সবই রাখি। কখনো বা আপন মনে ভাবতে থাকি জীবনটা কী? আমি যখন একলা ভীষণ ভাঙে তখন এই দেহ-মন। সেই সে আমি হেসে হেসে ভাবছি তখন জীবনটা কী? আমি যখন ব্যস্ত থাকি অচিনপুরের রঙিন পাখি হয়ে হয়েই ভাবতে থাকি ভাবতে থাকি জীবনটা কি? আমি যখন স্বপ্নে বিভোর রাত গড়িয়ে সকাল দুপুর তখন আমি হিসাব মিলাই ভাবছি তখন জীবনটা কি?   গভীর রাত, কুয়াশাচ্ছন্ন জীবন। তারার দেখা নাই। চাঁদের আলো নেই। হতাশা আর ব্যর্থতা দলা পাকিয়ে গলায় আঁটকে থাকে। বুকের পাথর বড় হয় দিনদিন! দূরের মিটিমিটি আলো কেমন ফ্যাকাশে হয় ধীরে ধীরে। তারপর মিলিয়ে যায় শুকনো ঝড়নার মত। কখনো বা ধপ করে জ্বলে উঠে আবার নিভে যাওয়ার জন্য। অনন্ত প্রতিক্ষায় মূর্তিমান হই আমি। হাজার হাজার বছরের কোটি কোটি মানুষের কোটি কোটি স্বপ্ন, শ্রম, মেধা, আবিষ্কার, উন্নতি, অর্থ, নারি আর আদিম লালসা। সব, সবই মিলিয়ে যায়। মিলিয়ে যায় সকল জীবও। বেঁচে থাকে কেবল পূণ্য। সময় হয়েছে হিসাব মিলাবার, পারছি না কেন? আসলে জীবনটা কী? কি?

বাঁশি

আমি বই মেলায় যেতে চাই। বই কিনতে নয়। একটা বাঁশি কিনতে। গতবারের বাঁশিটা ভেঙে গেছে। জানো? হাতে ঠিকমত বসতো না। আর বাঁশির তুলনায় আঙুলগুলো আমার খুবই ছোট, বড্ড বেমানান। একবার আমি হারিয়েছিলাম, বাঁশির সুরে। গভীর রাতে, পরি আর ডাইনির ভয় উপেক্ষা করে, হারিয়েছিলাম কোনো তেপান্তরে। ইথারে ভেসে বেড়ানো সেই সুর, ছড়িয়েছিলো অনেক দূর। গ্রাম্যসরলতা নিয়ে থাকে যেই ছেলেটা, তার মনেও যে অবচেতনে লুকিয়ে থাকে হাজারো নীল। কেউ জানে না। জানার প্রয়োজনবোধ করে না। শতশত রাতের সাক্ষী বাঁশি। একাকীত্বের সাথি হয়েছিলাম একদিন। বীজগনিত অনুযায়ী, বিয়োগে বিয়োগে যোগ হয়, আমরা যোগ হয়েছিলাম। বাঁশিটা তাকে দিয়েছিলাম। পছন্দ হয়েছিলো নাকি তার। আমি ভেবেছিলাম কিনে নেবো আরেকটা। কিন্তু কিনতে পারিনি। পারিনি আজো। চন্দ্রনা, পারবো কিনা তাও জানি না। 18-02-2016

ভালোবাসি

ভালোবাসি ফুল তাজা ফলমূল, পাখিদের গান কুহু কুহু তান, আকাশের নীল ডানামেলা চিল। ভালোবাসি নদী বয়ে চলে যদি, পাল তোলা নাও সবুজের গাঁও, চাঁদ তারা রবি মনে আঁকা ছবি। ভালোবাসি হাসি রাখালের বাঁশি, ভাটিয়ালি গান সবুজের বান, কুয়াশার ভোর দাও খুলে দোর। আমার মনে যে এত ভালোবাসা ছিলো, সেইটা দেখে আমার কেমন কেমন লাগে। আহা.. আগে কত স্বচ্ছ আর টেনশনমুক্ত জিবন কাটাইতাম...। আজকাল ভালোবাসা কি জিনিষ সেটা মনে হয় ভুলে গেছি... তাই অনেক অনেক আগের লেখা ছড়াগুলো পড়ি। পড়তে পড়তে আবেগাপ্লুত হয়ে যাই.. আহা..। আপনারাও পড়েন। ভাল্লাগবে... 2010 এর লেখা। দিনক্ষণ মনে নাই।

ছড়াতুক - 03

দুই বন্ধু বাইকে যাচ্ছে-- ১ম বন্ধু- এত্তো জোরে চালাসনে ভাই লাহছে ভিষণ ভয়। ২য় বন্ধু- আমার মতোই চোখ বুজে থাক ভয়ের কিছুই নয়। 03-12-2013

নদী

চৈত্রের কাঠফাটা দুপুরে এলোমেলো উদাসীর নুপুরে জমে থাকা চাপা চাপা কষ্ট টের পাই, বুঝি সব পষ্ট। মিটিমিটি হেসে যাই হেসে হেসে পুড়ে ছাই। খুঁজে খুঁজে পেতে চাই উদাসীর মিষ্টি সে হাসি। ঘুমে ঘোর একাকার ভেবে ভেবে কথা তার হাসিমুখে বেদনার বাজে সেই রাখালের বাঁশি। হেরে গিয়ে নাই হই যদি বুঝে নিও, ছিলো এক নদী সেই নদী আর নাই, নাই তাতে পানি কোনদিন সেই নদী, ভরে যাবে জানি। 3.15-3.35পিএম 25-03-2015ইং

বদলে যেতে পারো

কিছু ব্যাপার গোপণ থাকুক গোপণ থাকাই ভালো, গোপণ ব্যাপার প্রকাশ করে কেন করো মুখ কালো? মানুষ বড় আজিব চিজ দূর্বলতা পেলে, ভালোবাসার বদলে দেখো মারবে সুযোগ পেলে। কি উপকার, লাভ কিরে ভাই প্রকাশ করার মাঝে? তারচে বরং লেগে থাকো তুমি তোমার কাজে। বদলে তুমি যেতেই পারো বদলে যাওয়াই ঠিক, কান্না-হাসি, দুখ-বেদনায় ভাসুক চর্তুদিক। 9.00-9.13 সকাল 25-11-2014

নতুন ভাবনা

কী পেলাম আর কী পাবো না, সেই হিসেবে চাই না যেতে চাই না পেতে অতীত-ব্যাথা উল্লাসে কেন উঠবো মেতে? দুখগুলো সব বদলে গিয়ে সুখের খাতায় উঠুক নাম, ভালো কাজে থাকবো আমি হোকনা এটাই আমার কাম। অপূর্ণ সব কাজগুলো যেন সঠিকভাবে পূর্ণ হয়, শুধরে নিতে পারি যেনো নৈতিকতার যত ক্ষয়। আল্লাহ সবার সহায় হোন থাকুক সবাই ভালো, দূর হয়ে যাক সকল আঁধার দূর হয়ে যাক কালো। দেখতে দেখতে কীভাবে যে সময় চলে যায়... 01-01-2016

ঢাকা শহর

শহর শহর ঢাকা শহর লাখ মানুষের কাজের শহর বদমাশ ও রংবাজের শহর। শহর শহর ঢাকা শহর লাখ বেকারের প্রাণের শহর দুর্গন্ধ আর ঘ্রাণের শহর। শহর শহর ঢাকা শহর ব্যাস্ত ও যানজটের শহর ধান্ধাবাজ আর শঠের শহর। শহর শহর ঢাকা শহর রিশকা বাস আর গাড়ির বহর উচু নিচু বাড়ির শহর। শহর শহর ঢাকা শহর ভাঙা চোরা পথের শহর বিত্তশালীর রথের শহর। শহর শহর ঢাকা শহর টোকাই গরিব দুখীর শহর কিংবা অনেক সুখীর শহর। শহর শহর ঢাকা শহর দিনমজুর আর সবার শহর ঢাকা এই শহরই কখনো বা খুব হয়ে যায় ফাঁকা। 23-12-2014

ভ্যাট

ভ্যাট দিমু না ভ্যাট, মাল খেয়ে সব টাল হয়েছিস সেতুর টাকা খুব খেয়েছিস তাই তো হলো এত্ত বড় পেট। ভ্যাট দিমু না ভ্যাট, করবি তোরা চাঁদাবাজি সেই টাকাতে হবি হাজি রাখবি কোথায় এত্ত বড় পেট? 10-09-2015

ছড়াতুক-- 01

  ক্লাশটিচার ছাত্রকে প্রশ্ন করলেন, টিচার : বলতো খোকা, বরফ কেনো পানির উপর ভাসে? ছাত্র : বরফ তো সার সাঁতার জানে, যেমন জানে হাঁসে। 17-11-2014

মহান নবী

Image
যার মমতায় গরীব দুখি ভালোবাসায় হতেন সুখী যার পরশে কঠিন পাথর গলে হতো পানি, রূপে গুণে শ্রেষ্ঠ যিনি উদারতার প্রতীক তিনি বিশ্বাসী আর ন্যায়-নীতিবান, মহান বলেই জানি। সেই সে আরব, মরুর নবী মানবতার মহান কবি যার ছোঁয়াতে সকল মানুষ পেলো সঠিক পথ, শান্তি ও সুখ আসবে ভবে তারই পথে চললে সবে, জান্নাতেরই পাখি হবো মানলে তাঁরই মত। পত্রপত্রিকায় লিখি না। ভালোও লাগে না। কিন্তু মালিবাগের স্মৃতি যেখানে থাকে সেখানে আমিও থাকতে চাই। চাই সেটা আমাদের সময়ে কারোর হাত থাক কিংবা আদি বা উত্তর। ঘাসফড়িং এ দিসিলাম এইটা। Mahbub ভাই এর কথায়। ঘাসফড়িং হাতে না পেলেও ফেবুর বদৌলতে পেয়েছি ছবিগুলো। (ফাঁকতালে একটা কথা বলে ফেলি। দুদিন ধরে খুব মনে চাচ্ছে রাসুল সা. কে নিয়ে কিছু লিখি। কিন্তু অভাগা আমি। মাথায় আসছে না তেমন কিছুই। তাই ঘাসফড়িং থেকে প্রকাশিতটাই আবার দিলাম। যদিও এটা আমার স্বভাববিরুদ্ধ..) 7-8 সালের।

ছড়াতুক--02

ক্লাশটিচার ছাত্রকে প্রশ্ন করলেন, টিচার : বলতো খোকা, বরফ কেনো পানির উপর ভাসে? ছাত্র : বরফ তো সার সাঁতার জানে, যেমন জানে হাঁসে।

অনুকাব্য

1 আকাশ এতো মেঘলা থেকো নাকো একলা। বাইরে ভীষণ অন্ধকার গলায় দে তোর মহিতার। 2 বৃষ্টিভেজা এই দিনে ঘরটা আমার কে চিনে? চিনিস যদি চলে আয় দুধ মাখা ভাত বিলাই খায়। 3 বৈশাখের এই তুমুল ঝড়ে মনটা যখন ভেঙে পড়ে ভাঙা মনে আসবে সুখ সুখের জোয়ার ভাঙবে দুখ। 4 এখন আমি একলা ভীষন শূণ্যতাটা ঘিরেই থাক কেউ কি আছিস আমার মত? বাহুতলে আমায় রাখ।

দিনগুলো

দিনগুলো ঠিক যাচ্ছে কেটে যেমন যাবার, নেইকো আশা অতীতকে আর ফিরে পাবার। চাঁদ দেখে আর ভাবি না কো, সুখের স্বপন, অলীক মাঠে করি না আর বিজের বপন। সময় আমার যায় যে কেটে তোমায় ছাড়া, চাঁদ দেখেও, দেখি না কো, হই না আমি আত্মহারা। তোমায় বিনে, জীবনটা যে, শূন্য মরু। মরুতো হয় জলাবহীন, নেইকো তরু। নির্বিকারে হয়তো দেখো যাচ্ছে কেটে তোমার দিন বুঝবে ঠিকই সময় হলে বাড়ছে শুধুই তোমার ঋণ হয়তো তখন থাকবে না আর আমার তোমার মনের মিল অনেক বড় হয়তো হবো, খুলবে না আর ছোট্ট আমার মনের খিল। তারপরও তো দিন কেটে যায় যাচ্ছে যেমন। হই উদাসীন কিংবা আমি নই কো তেমন। কী আসে যায়? দিনগুলো মোর যাক না কেটে। সময় হলেই হয়তো পাবো, সুখগুলো ঠিক আসবে হেঁটে। আগে-পরে যে যাই বলুক, ইচ্ছেমত বলুক পাগল কিংবা কেউ আগ বাড়িয়ে মনের খেদে বলুক ছাগল অবহেলায় দিক না ঠেলে আমায় যতই। আমি আছি, যেমন ছিলাম, আমার মতই। বি : দ্র: কিশোর কবিতাটাকে 4 মাত্রায় পড়লে মজা পাবেন। অন্যথায় ছন্দের তালের মহত্ব বুঝতে অক্ষম হবেন। এটাকে প্যারেডি কিংবা সুর করে গাইলেও বেশ লাগছে আমার কাছে। উদাহরণস্বরূপ একটা লাইন ভেঙে দিচ্ছি, বুঝার সুবিধার্থে। দিনগুলো মোর যাচ্ছে কেটে যেমন যাবার, নেইকো আশা অতী

টুকটুকের সুখ দুখ

- আম্মু, আম্মু। ভাইয়া আমাকে খেতে দিচ্ছে না। ও একাই সব খেয়ে ফেলছে... - আচ্ছা, আমি তোমাকে অন্য পোকা খুঁেজ দিচ্ছি। ছয় নাম্বার ছানাকে একটা পোকা খুঁজে দেয় মা মুরগীটা। এমন সময় অষ্টম ছানাটা এসে বলে, আম্মু আমাকে কিছু খেতে দাও। দিচ্ছি মা, এই বলে অন্য একটা পোকা খুঁেজ দেয় তার ছানাটাকে। এভাবে প্রতিদিন বাচ্চাদের খাবার নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয় মা মুরগীটার। তবে আজকাল আর ঝামেলা মনে হয় না। একসময় খুব ঝামেলা মনে হতো। তাছাড়া বয়স তো কম হয়নি। তিন বছর হতে চললো। অভিজ্ঞতা বলে একটা কথা আছে। এতোদিনে নানারকম অভিজ্ঞতা হয়েছে মা মুরগীটার। এ পযর্ন্ত কম হলেও শ’খানেক বাচ্চার মা হয়েেেছ। ডিম অনেকগুলোই পেড়েছে। সংখ্যা সঠিক মনে নেই। কত বাচ্চা যে হিংস্র পাখি বা প্রানীর কবলে পড়েছে তার ইয়ত্ত্বা নেই। তাছাড়া নানারকম রোগ-ব্যাধি তো রয়েছেই। ছোট্ট একটা বেগুন গাছের নিচে বাচ্চাগুলোকে আড়াল করে এসবই ভাবছে মা মুরগীটা। আবার একটু দেখে নিলো মা মুরগীটা। দেখলো, মোট নয়টি বাচ্চা রয়েছে এখন। বাচ্চাগুলোর বয়স ২৫ দিনের বেশি নয়। তাই তার সর্তক থাকতে হয় একটু বেশিই। নিজেকে রক্ষা করার মতো কৌশল শিখতে পারেনি বাচ্চাগুলো। কৌশল শিখবে কি? এখনো তো ভালো করে নি

গদাই বাবু

বলছি আমি সবাই শুনো এ যে নিরেট কল্পনা, কল্পনা তাই পুরোপুরি সত্যি কোনো গল্প না। তাই বলে যে উড়িয়ে দেবে করবে শুধুই জল্পনা, ব্যাপারটা খুব হালকা হলেও ওজনটা তার অল্প না। সেদিন দেখি আইবুড়ো এক বয়স হবে আশি, দিনপ্রতি তার খাবার নাকি ইয়াব্বড় এক খাসি। ব্যাপারটা ঠিক সত্যি কিনা, গেলাম বুড়োর কাছে, গিয়ে দেখি বুড়ো তখন বসে কাঁঠাল গাছে। যেই শুধালাম খাসির কথা, বললো আমায়, ’কে রে?’ রেগে গিয়ে মারতে বুড়ো আসলো তখন তেড়ে। বুড়ো তো নয়, এযে দেখি পাগলা গদাইবাবু, ধুত্তুরি ছাই, ভাবছি কি সব, এসব ভেবেই কাবু!

মশা

ফাজিল মশা রক্ত চোষা প্যান প্যানিয়ে গান শুনিয়ে হুল ফুটিয়ে যাস মুটিয়ে পেটটাকে তোর ঢোল বানিয়ে ফুড়ুৎ করে যাস পালিয়ে কই? ভীষণ ধাড়ি নিজকে মারি কামড় খেয়ে ব্যাথা পেয়ে তোর জ্বালাতে চাই পালাতে তোর কাছে আজ হেরে গিয়ে কেমন আমি বেকুব হয়ে রই। 21-03-2020 9.52 PM

ছড়াতুক

ইন্টারভিউ দিতে এসেছে এক চাকুরিপ্রার্থী : কয় বছরের অভিজ্ঞতা এখন বয়স কতো? : তিরিশ বছর কাজ করেছি হয়তো এখন বয়স আমার পচিশেরই মতো। : তিরিশ বছর কাজ করেছেন কেমনে তবে বয়স পচিশ হয়? : সময়কে স্যার দাম দিয়েছি ওভার টাইমও খুব করেছি তাইতো বয়স পচিশ খেকে একটু বেশিও নয়।

জীবনবোধ

আমার আছে একটা নদী নাইকো নদীর কূল। হয়তো সবাই ভুলই বুঝে বুঝুক আমায় ভুল। তাতে এমন কী এসে যায়, কি-ই বা আমার ক্ষতি? যা হবার তা, হবেই হবে ঠিকই হবে গতি। কেউবা পূবে আলো ছড়ায় পশ্চিমে দেয় ডুব, হয়তো কেউ রাগবে আবার কেউবা খুশি খুব। আমারও তো স্বপ্ন আছে ইচ্ছে মনে শত, আমিই আমার ভাবনা ভাবি আমি আমার মত। ইন্সপাইরেশন - 05 আসলে মহাসত্য হচেছ... জীবন যখন মরিচিকা হাজার ভুলের মেলা, সেই জীবনে কিইবা এমন রঙ্গ-রসের খেলা? 12-02-2016

মুনিয়া

মুনিয়া, আমি বলছি না আমাকে ভালোবাসতেই হবে। আমি চাই না, তুমি হেরে যাও। তবে যদি, ওটা নিয়তি থাকে, তাহলে আমার হাত নেই ওতে। আমি মুগ্ধ! এটা বলতে চাই না। বিশ্বাস করো, মিষ্টিভেজা অদ্ভূত লেগেছে আমার কাছে। জানতে চাচ্ছ কি? ওটা তোলা থাক! আরেকটা ব্যাপার, শুধু অদ্ভূত না, অদ্ভূত সুন্দরও লেগেছে। ইচ্ছা হলে এসো একদিন। এক কাপ কফির সাথে প্রতিদানের হিসাব মেলাব। অথবা, শূণ্য থাক কিছু ঘর। মুনিয়া, জানি, ক্ষুধার্ত বাজ সুচতুর চোখে খুঁজে মুরগির ছানা। তুলতুলে অমন সুন্দর ছানার সৌন্দর্য তার কেবল ভোজনেই। বোকা গাধাগুলো কেবল আফসুস করে; অসীম মায়ার অপচয় দেখে। মুরগির ছানা কেবলই হারায় বাজের হিংস্র সুন্দর চোখে; স্বকীয়তা। মুনিয়া আমি বলছি না, আমাকে ভালোবাসো। আমি চাই, শুধু নির্জনে, কিংবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে অথবা সপ্তাহান্তে আমাতে বিলীন হও। আমি চাই না, তুমি আমাকে ভালোবাসো। আমি চাই, তুমি হিসাব করতে শেখো, “ জীবনের হাজারো পাঠের মাঝে দু চারটে পাঠ আর অমন কি!” 28-06-2016

রোগের ছড়াছড়ি

দুদিন ধরে ভুগছি রোগে এখন আমার জ্বর, রোগের ভিতর বসত আমার, আমিই রোগের ঘর। চোখ ফুলেছে, লাল হয়েছে মাথা এখন হ্যাং পেটে ব্যাথা পিঠে ব্যাথা কখনো বা ঠ্যাং। এলার্জিটা খুব বেড়েছে হাঁচি কাশি খুব, এখন আমার শোয়া উচিত দিচ্ছি ঘুমে ডু্ব। সবার নিকট দোয়ার চাই. দুদিন ধরে শরিরটা খুব বেতালের হয়ে গেছে.. মাথাও হ্যাং হয়ে আছে.. অনেককিছু লিখার ছিলো। পারলাম না। 18-02-2016

তুমি

গভীর রাতে ওই আকাশে যখন দেখি তারা, তোমায় যে খুব মনে পড়ে আমি বাঁধনহারা। তুমি ছিলে, তুমি আছো থাকবে তুমি মনে, তোমায় নিয়ে ভাবনা কত রাতেরই নির্জনে। বৃষ্টি এলেই তোমার কথা হঠাৎ মনে পড়ে, পারি না যে ভুলতে তোমায় ভুলবো কেমন করে? দোয়া করি সুখে থাকো অনেক অনেক সুখে থাকবো আমি আমার মতো সুখে কিংবা দুখে। চন্দ্রনাকে উৎসর্গ করলাম। জাতি জানিতে ইচ্ছুক.. কে সেই চন্দ্রনা? জাতির দূর্দিনে আমার আবার ছ্যাকামূলক ছড়া আসে খুব... 26-03-2017

পায়রী

  হে অনাগত বউ... তোরে নিয়া রচিত এইটা এক্সট্রিম লেভেলের কোনো বিশেষ কবিতা। প্রথম ও শেষ প্যারা অক্ষরবৃত্তে আর মাঝে স্বরবৃত্তে রচিত। ওভারঅল মিশ্রমাত্রার একটা উদাহরণ তোর জন্য। সুখ দুখ নিয়ে মিশ্র জীবন কাটবে তোর... এই কামনা। তুই তো হলি সাগরসেঁচা মুক্তা-হিরা, আমার চোখে তুইই রানি, বুকের ভেতর ধুকপুকানি, রক্ত-শিরা। এলো চুলের লক্ষী ভুতু পাগলী বুড়ি তুই, বাঁকা দাঁতের মুচকি হাসি শিউলি, জবা, জুঁই। মিসিং হওয়া হার্টবিটটা, তুই কি ছিলি? বল। তোকে ছাড়া শূণ্য যে সব সবই তো অচল। তুই কি তবে আমার বুকের বাম পাঁজরের হাঁড়? আমার যদি নাই বা হলি কবে ছিলি কার? তুই তো হলি সোনার ঘুঘু, আমার প্রিয় পায়রী আগলে তোকে রাখবো বুকে, আমিই তো তোর কলম হবো, হবি আমার ডায়রি? 06-10-2016 2.45 AM

মাল সাহেব

মাল সাহেব আজ মাল খেয়েছেন খুব হয়েছেন টাল, টাকা খাওয়ার স্বপ্নে বিভোর এখন বে-সামাল। খেতে খেতে টাক হয়েছে খুব হয়েছে পেট, তাই তো তিনি সোফায় বসে ঠিক করে দেন ভ্যাট। শিক্ষা মানুষের একটা মৌলিক অধিকার। এর উপর ট্যাক্স বসানো মানে, জাতিকে ধ্বংস করার নামান্তর। টাকা দিমু না, গুলি কর... 11-09-2015

আশার আলো

হয় না পড়া, হয় না লেখা, স্বপ্নগুলো হয় না দেখা, হয় না কিছুই শেখা। এই দেখো না অবহেলায়, কেউ বা থাকে দুখের মেলায়, কিংবা ভাসে সুখের ভেলায়। খুব হতাশায় কেউ বা আবার চায় যেতে সে মরে যাবার কিংবা ভাবে কিছু পাবার। মন কেনো ভাই নিকষ কালো? স্বপ্ন থেকে আশাই ভালো জ্বালাও তোমার আশার আলো। 13-11-14 11.42 PM

যাই যদি

আমি যদি হেরে যাই, হেরে গিয়ে ফিরে পাই সোনালী সে দিন। ভুলে গিয়ে সবকিছু ছুটবো না কারো পিছু বাড়াবো না ঋণ। হতাশার নোনাজল আবেগের ছলছল ভুলে যেতে চাই। আমি চাই সব ভুলে স্মৃতিগুলো বুকে তুলে সুখ যেনো পাই। পুড়ে পুড়ে সোনা হই কিবা আমি ছাই রই পাই যেনো পার, যাই যদি হারিয়ে হাত দুটি বাড়িয়ে ডেকো না কো আর। স্বত্ত্ব : ফজুদা। 28-03-2015 (7.00-7.52 PM) আল বিদা....

তোমরা বনাম আমরা

© সকল নির্যাতিত মুসলিম ভাই বোনদের জন্য। বিশেষ করে ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের... তোমরা যখন লড়াই করো জীবন দিয়ে স্বপ্ন গড়ো স্বপ্ন দেখো, আকসা জয়ের, আমরা তখন, গল্প শুনি মুসলমানের সংখ্যা গুনি আরো শুনি গল্প ভয়ের। তোমরা যখন কথা বলো বুক ফুলিয়ে যুদ্ধে চলো সব ভুলে যাও, আবেগ-মায়া, আমরা তখন নারীর আশায়, মত্ত থাকি ভালোবাসায়। কোথায় রাখি লজ্জা-হায়া? তোমরা হলে আসল বীর নোওয়াও না কো উচুশীর তোমরা এখন কই! আমরা নাকি বীরের জাতি গলা ফাটাই দিবস-রাতি ফুটাই কথার খই। 17-10-2015

স্বপ্ন দেখি

স্বপ্ন দেখি নতুন করে স্বপ্ন দেখেই বাঁচি, হতাশ হয়েও এই দেখো না দিব্যি বেঁচে আছি। আমার যত স্বপ্ন সবই স্বপ্ন থেকেই যাক, আবেগ সবই যাক হারিয়ে বাস্তবতাই থাক। প্রতিদিনই বাঁধবো আমি নতুন সুখের ঘর, হোকনা যতই জীর্ণ সেটা কিংবা কুড়েঘর। 09-02-2015

বৃষ্টি এলে

বৃষ্টি এলেই হই উদাসী, মনটা আমার কেমন থাকে। বৃষ্টি এলেই স্বপ্ন মাড়াই, কল্পনারই ঘুর্ণিপাকে। বৃষ্টি এলেই অতীত দেখি, ভবিষ্যত আর বর্তমান। বৃষ্টি এলে কোথায় হারাই, কোথায় আমার কিসের টান! বৃষ্টি এলে ভাসতে থাকি, হাসতে পারি খিলখিলিয়ে বৃষ্টি এলে কষ্টগুলো, কেমন করে যায় মিলিয়ে! বৃষ্টি এলে ক্লান্তি ভুলে, তরতাজা হই কেমন আমি। বৃষ্টি এলে বুকটা ভরে, বৃষ্টি যে তাই খুব দামি। বৃষ্টি আসুক দুখের দিনে, কষ্টগুলো দিক তাড়িয়ে। বৃষ্টি আসুক আকাশ ভেঙে, চাই যে যেতে দিক হারিয়ে। বৃষ্টি আসুক, আসুক নেমে, তোমার-আমার সবার প্রাণে। বৃষ্টি আসুক মুগ্ধ করুক, মিষ্টি বকুল ফুলের ঘ্রাণে। সময়কাল 10 মিনিট 03-04-2017 9.15 PM

একটুখানি বাঁচার আশায়

নারী-শিশু, নৌকা ভাসায়, নিজের ঘরেই পায় না ওরা একটুখানি ঠাঁই। নির্যাতন আর কষ্ট সয়ে পালায় আসে কিসের ভয়ে? নয় কি ওরা আমার বোন, নয় কি ওরা ভাই? স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীন যদিও বলি নই পরাধীন কেন পারি না এগিয়ে যেতে, ভয়টা তবে কিসে? হুদাই কেনো গলাবাজি আগায় আসো পারলে আজি তা না হলে, স্বাধীন দেশে স্বাধীনতাই মিছে। 05-12-2016

দাম বেড়েছে

দাম বেড়েছে পেঁয়াজ আলুর দাম বেড়েছে গ্যাসের, খুব বেড়েছে বাসের ভাড়া দাম বেড়েছে দেশের। দাম বেড়েছে বিদ্যুত আর দাম বেড়েছে তেলের, উন্নয়ন আজ খুব হয়েছে শহর মেট্রো-রেলের! দাম বেড়েছে চালও-ডালের দাম বেড়েছে সবজির, দাম বেড়েছে নেতা-খেতার, জোর বেড়েছে কবজির। দাম বাড়েনি আমার মত নিম্ন মধ্যবিত্তের, ক্ষিদের জ্বালায় শুকিয়ে গেছে রক্ত-রসও পিত্তের। আমরা কেবল চেয়ে চেয়ে দেখবো কত রঙ্গ, সাধু! সাধু! ধন্য তুমি আমার প্রিয় বঙ্গ! 25-02-2017 4.30-4.45 পি এম বি: দ্র: লেখাটা সবার জন্য উন্মুক্ত, তবে জানিয়ে প্রচার করলেই খুশি হবো বেশি। অনলাইন বা প্রিন্টেড ভার্সনে হতে পারে।

বিয়ের একাল ও সেকাল

Image
বিয়ে নিয়ে বাংলা সাহিত্যে তেমন কোনো ছড়া নাই, মানে বিয়ের ছড়া দিয়ে বাংলার সাহিত্যভান্ডার অতটা সমৃদ্ধ না। ভাইয়ার বিয়ে তাই ভাইয়াকে উইশ করে হিয়ে হিয়ে হিয়ে, ভাইয়ার বিয়ে, পিঠাপুলি ভাজে ঐ তেল ঘিতে দিয়ে। বড় বড় মাছ আর আতপের চাল, মোটা-তাড়া গরু খাসি, কলাইয়ের ডাল। দুধ কলা আম জাম খৈ মুড়ি খাবো, ফুলতোলা বিছানায় গড়াগড়ি যাবো। আরো কত মজা ভাই, দই আর মিষ্টি, ভাইয়ার বিয়ে তাই, হবে নয়া ইস্টি। ইয়ে ইয়ে ইয়ে, ভাইয়ার বিয়ে, কতকিছু কেনাকাটা মার্কেটে গিয়ে। বিয়ে নিয়ে আলোচনা, কল্পনা শত, হইচই হাসিখুশি ছোট বড় যত। গোস খাবো, রোস্ট খাবো, আরো কত কি! হবে গান, মজা হবে, হি হিহি হি। কত মজা, কত মজা! খাই শুধু খাবি। ভাইয়ার বিয়ে তাই, পাবো নয়া ভাবি। বি: দ্র: লেখক নিজেকে 10 বছরের পিচ্ছি কল্পনা করে এমন ছড়া লিখতে পেরেছেন। সুতরাং শিশুতোষ ছড়া শিশুদের জন্যই থাক। 25-05-2015 64 মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, সাকিব মুস্তানসির and 62 others 7 comments Like Comment Share