Posts

Showing posts from February, 2012

জোসনা রাত

    -রুনা নাজনীন জোসনা রাতে ঐ আকাশে মিষ্টি চাঁদের আলো, মিষ্টি চাঁদের সেই আলো খুব দেখতে লাগে ভালো। চাঁদের আলোয় যায় ঘুমিয়ে বনের বনের যতো গাছ, আলোর সাথে করে খেলা নদীর সকল মাছ। উঠোনজুড়ে রুপকথা আর গল্প বলার মেলা, গল্প শোনার সেই মেলাতে জোসনা করে খেলা।

আমার ইচ্ছেগুলো

             -খালিদ বি ন আমিন ইচ্ছে করে যাই ছুটে যাই দূরে বহু দূরে ইচ্ছে করে কণ্ঠ মিলাই পাখির গানের সুরে। ইচ্ছে করে পাখির মতো নীল আকাশে উড়ি ইচ্ছে করে ঐ আকাশে দিই উড়িয়ে ঘুড়ি। ইচ্ছে করে করে লাফিয়ে বেড়াই কাঠ বিড়ালির মতো ইচ্ছে করে দিই পাড়ি দিই পাহাড় শত শত। ইচ্ছে করে পথ হারিয়ে গহীন বনে ঢুকি ইচ্ছে করে পাখির মতো ঝোপ ঝাড়ে দিই উকি। ইচ্ছে করে স্রোতে ছুটি হয়ে নদীর পানি ইচ্ছে করে স্বপ্নগুলো রঙিন করে আনি।

প্রানের ভাষা

-তারিক ওয়ালি  বাংলা আমার মাতৃভাষা কান্না-হাসি মনের আশা, মজুর-শ্রমিক মাঝি চাষা আমার প্রানের বাংলা ভাষা। হাসতে পারি বলতে পারি গাইতে পারি গান, রক্তে কেনা বাংলা ভাষা আল্লাহ তা'লার দান। 

বান

  -তারিক ওয়ালি ১. সকাল থেকে ধান কাঁটছে রহমতুল্লাহ। ছেলে সিদ্দীক ও অবিশ্রান্ত খাঁটছে বাপের সাথে। কিছুক্ষণ কাঁটার পর জিরোতে বসেছে রহমতুল্লাহ। শরীরে কুলায় না। হাঁপরের মতো উঠানামা করছে বুক। ছেলের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। সিদ্দীক আছে বলেই রক্ষা। সবে সংসারের হাল ধরতে শিখেছে। খাঁটছে সকাল থেকে। একটুও জিরোয়নি। যেন ক্লান্তি নেই কোনো। মনে মনে আল্লাহ কে ধন্যবাদ জানায় রহমতুল্লাহ। আর পাঁচ সাতটা ছেলের মতো হয়নি। জুয়া-আড্ডাতে যায় না কখনো। শৈশবের কথা মনে পরে। কি পরিশ্রমই না করতো তখন। গায়ে জোর ও ছিলো অশুরের মতো। দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। কোথায় সেই শক্তি। ছেলের দিকে তাকায়। এখনো ধান কাঁটছে সে। একজন লোক রাখবে সে ক্ষমতাও নেই। ৩০০ টাকা রোজ। ধান কাঁটা থেকে শুরু করে মাড়াই করা, সেদ্ধ, রোদে শুকানো সব নিজেরাই করতে হয়, না হলে পোষায় না। রহমতুল্লাহ ডাক দেয়- সিদ্দীক! - কি বাজান? - আয় ভাত খাইয়া যা, কতক্ষণ বাদে কাজ করিছ। গামছা দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বলে সিদ্দীক আইও খাইয়া লই। ভাত খেতে বসে দুজনে। হিঁদল শুটকির ভর্তা আর পান্তাভাত, যেন অমৃত। ২. খাওয়া শেষ করে ছেলেকে বলে রহমতুল্লাহ- অট্টু জিরাইয়া

একটি পাখি

 -তারিক ওয়ালি একটি পাখি হাসতে জানে একটি পাখি ভালো, একটি পাখি বেজায় খুশি মুখ ভরা তার আলো।  একটি পাখি ভীষণ দুখী একটি পাখি কানা, একটি পাখি শুধুই কাঁদে ভাঙা যে তার ডানা। একটি পাখি হাসি খুশি কখন ও বা দুখি, দুখের মাঝে সুখ আছে যার সেই বড় সুখী।