Posts

Showing posts from April, 2016

আর হবে না ভুল

তখন তো ফেবু ছিলো না, ডাইরি ছিলো আমার ফেবু। ওইটাতেই সব লিখতাম। হঠাৎ করেই ছড়ার ডাইরিটা বের করলাম। 2006 সালে লিখসিলাম ছড়াটা। সম্ভবত এইটাই আমার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রথম কোনো ছড়া। অথবা সবুজ পাতায়ও একটা ছিলো, 2005 এর দিকে, ঠিক মনে নাই। ছড়াটাও আর নাই মনে হয়। কত ছড়া যে হারিয়ে ফেলেছি। -ফয়জুল্লাহ (নামের জায়গায় ফয়জুল্লাহ আছে, ডাইরিতে) আমরা সবাই খোদার গোলাম তিনি সবার রব, তারই পথে চললে মোদের আসান হবে সব। পড়ব নামাজ রাখবো রোজা যাকাত দিবো সবে, বিপদ আপদ দু:খ ব্যাথা থাকবে না আর ভবে। হজ্বের সময় হজ্ব করে ভাই করব ইমান তাজা, মানলে বিধান আমার রবের আর পাবো না সাজা। তাইতো আজি করছি শপথ আর হবে না ভুল, রোজ হাশরে ঝুলবে গলায় জান্নাতেরই ফুল। 16/11/2006 মাসিক রাহবারের ডিসেম্বর ’16 সংখ্যায় প্রাকাশিত। একটা জিনিষ খেয়াল করলাম। কেউ যদি রেগুলার লিখে, দুই বছর পর পার্থক্যটা পষ্ট হয়ে আছে। আগে কেমন ছিলাম, এখন কেমন আছি। কেমন কাঁচা হাত ছিলো। তারপরও অতটা কাঁচা না। কয়েকটা শব্দ বাদে বাকিগুলো ভালোই হয়েছে। মাত্রা, অন্ত্যমিলের ক্ষেত্রে কখনোই মনে হয় না তেমন বড় সমস্যা ছিলো। আমি ছড়ার মানুষ। ছড়া

তোমরা যখন

 © তারিক ওয়ালি তোমরা যখন হত্যা করো, চোর ডাকাতের খনি গড়ো, আমরা তখন ভাবতে থাকি কিংবা ভয়ে কাঁপতে থাকি। তোমরা করো বর্ষবরণ সেই সুযোগে বস্ত্রহরণ আমরা তখন লজ্জিত হই লজ্জা পেয়ে চোখ বুজে রই। তোমরা নাকি সুশীল সবাই! মানবতা করছো জবাই, তারপরও কেন ভদ্র সাজো? মানুষ হতে চাওনি আজো। উপর সাদা ভিতর কালো তোমরা নাকি জ্বালাও আলো! কোন সে আলো সবাই বুঝে থাকবো না আর চোখটি বুজে। থাকতে সময় সিধা হও কিংবা দূরে, দূরেই রও, তোমরা হলে এই সমাজের বোঝা, থাকতে সময় যাও হয়ে যাও সোজা। বি : দ্র : এইটা কিঞ্চিত বিদ্রোহী কবিতা.. :3 18-04-15 2.44এএম

একটি আষাঢ়ে গল্প

যদিও আষাঢ় মাস না। তবে , আষাঢ় মাস হলেও তেমন কিছু হতো না। গল্পটা ভূতের। তাই একটু ভূমিকা দেওয়া দরকার , মানে ভূতের পরিচয়টা আর কি! ভূতের নাম , উলুবুলু। তার বউয়ের নাম হুলুবুলু। ভূতটা রাত-দুইটা তিনটার দিকে মচমচ কচমচ করে মুড়ি খায়। সেই সাথে চকলেটও। ভূতটার একটা বউ আছে। বউটাও ভূতের মতো। কোনকোনদিন গভীর রাতে জামাই-বউ ইক্ষু মানে গেন্ডারি চিবোয়। গাছের ডালে বসে , রাজনীতির আলাপ করে। কিভাবে দেশের মানুষগুলো নোংরা রাজনীতির নির্মম শিকার হয়ে তেলাপোকার চেয়ে কুৎসিত জিবন-যাপন করছে , সেটা নিয়ে তারা ইনিয়ে বিনিয়ে কাঁদে। তারপর খিলখিল করে হাসে। মানুষের , বিশেষ করে নারীদের হিংসা আর নারী নিয়ে পুরুষের যুদ্ধের ইতিহাস পড়ে। তারপর তারা আফসুস করে। যাই হোক , ভূমিকা অনেক বড় হয়ে গেছে। এবার মূল গল্পে আসি। একদিন ভূত মানে উলুবুল একটা কাঁঠাল কিনলো। কাঠাল কিনে , মনের সুখে ঢেং ঢেং করে বাড়ি ফিরলো। এসেই তার বউ মানে , হুলুবুলুকে কাঁঠালটা দিয়ে বললো , “ কাঁঠালটা রাখো। আমি গোসল সেরে আসছি। তারপর খাবো। ” এদিকে হুলুবুলু ভীষণ কাঁঠালের ভক্ত। কাঁঠাল দেখেই জ্বিবে ঠিকঠিক আধা কেজি জল জমা হলো। লোভ সামলাতে না পেরে , কিঞ্চিত কাঁঠাল