Posts

Showing posts from September, 2014

যন্ত্রণা (ছোটগল্প)

    © তারকি ওয়ালি (ফজুদা) গতরাত থেকে মাথা ব্যাথা করছে মুরাদের। ক্রমেই বাড়ছে। মাথা ব্যাথা কোনো রোগ না। একটু ভালো ঘুম কিংবা বিশ্রামে থাকলেই সেরে যাওয়ার কথা কিন্তু সারছে না। সকাল থেকে হঠাৎ করেই কেমন হাঁটু আর পায়ের গোড়ালিতে ব্যাথা করছে। ব্যাথাটা কেমন অবশ অবশ ভাব এনে দেয়। জ্বর আসবে নাকি? মুরাদের একটু ভয় ভয় করছে। যদি জ্বর আসে তাহলে এন্টিবায়োটিক ছাড়া কখনোই জ্বর ছেড়ে যায় না। বিছনায় শুলেই হুট করে জ্বর চলে আসতে পারে। অতীতেও এমন হয়ছে অনেক। এ কারণেই বাসায় ফিরছে না মুরাদ। বাসায় ফিরলে যদি আলসেমি লাগে। তারচে বরং এখানে বসে থাকাটাই ভালো।  অনেকেই হয়তো তাকে পাগল বা ভবঘুরে  ভাবছে। ভাবুক। তাতে কী? আসলে এই ভর সন্ধায় কেউ যাত্রিছাউনীতে বসে থাকে না। পুরো ছাউনিজুড়ে বেসরকারি একটা মোবাইল কোম্পানির বিজ্ঞাপণ। বিজ্ঞাপনের মডেল; একটা মেয়ে ও একটা ছেলে। তাদের হাসিমাখা চেহারা দেখে মুরাদের মনে হলো, অযথাই হাসি দিয়ে দাঁত বের করে আছে মডেলদুটো। হাসিটা তার কাছে ভয়ানকই মনে হলো। যদি মানুষের বত্রিশটা দাঁতের বদলে ৬৪ টা দাঁত থাকতো তাহলে মনে হয় মডেলদুটো ৬৪ টা দাঁতই বের করে অতিকায় হাসি হাসতো। ভয়ানকের মাত্রাটাও বাড়তো তখন। মোবাইল কম্প

টুকুর কান্ড

    তারিক ওয়ালি আমার ঘরে বইয়ের তাকে দল ইঁদুরের থাকে, মাঝে মাঝেই ইঁদুরগুলো চিকচিকা চিক ডাকে। ইঁদুর মায়ের ছোট্ট-ছানা বলল টুকু সেদিন, মুখের ভেতর দাঁতগুলো তার উঠলো গঁজে যেদিন। আম্মু আমি এখন থেকে করবো লেখাপড়া, গল্পে ভরা বই দাও আমায় থাকবে সাথে ছড়া। অনেকগুলো বই সে যখন পেলো নিজের হাতে, বইগুলোকে মনের সুখে কাঁটতে থাকে দাঁতে। আরে! আরে!! করিস কি তুই? আসলো মা তার তেড়ে, বললো টুকু, করবো কি মা? যাচ্ছে যে দাঁত বেড়ে।

রঙিন স্বপ্ন

রোমান্টিক অণুগল্প © তারিক ওয়ালি - সময়মত প্রধানমন্ত্রী পৌঁছুলেন সভাস্থলে। তারপর তিনি মুর্হূমুহ হাততালি আর শ্লোগান উপেক্ষা করে মঞ্চে উঠলেন। মঞ্চে উঠে দু সেকেন্ডর জন্য চোখ বন্ধ করলেন। কিছু একটা ভাবলেন বোধ হয়। দর্শক আর দলীয় নেতা-কর্মীরা তীব্র আবেগ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে তাকিয়ে রইলো প্রধানমন্ত্রীর দিকে। প্রধানমন্ত্রী ভয়ানক এক হুংকার ছেড়ে বললেন, সংগ্রামী সাথি ও বন্ধুগণ! মুর্হূতেই সভাস্থল জুড়ে নে মে এলো পিনপতন নিরবতা। সেই জাদুকরী সম্মোধনে দর্শক চোখের পাতা ফেলতেও ভুলে গেলো। তারপর প্রধানমন্ত্রী বেশ ক্লান্তি নিয়ে বললেন, ওরে তোরা কে কোথায় আছিস, আমাকে বিছনা পেতে দে, আমি একটু ঘুমোবো। বেশ কদিন ঘুমুতে পারিনি। - ধুর! এইটা কোন গল্প হলো, তুমি সবসময় এমন ফাজলামি করো। আচ্ছা, তুমি এমন কেন? - একটু হেসে জুয়েল বললো, কই? আমি কেমন? - এই যে কোনো কিছুই সিরিয়াসলি নাও না। আমি বললাম একটা গল্প বলতে আর তুমি কী আজগুবি কাহিনী শুরু করছো। - ও... - ও.. মানে? জুয়েল মাঝে মাঝেই ঝুমুরকে রাগাতে এরকম ও... ও... করে। ও... শব্দটা শুনতে ঝুমুর একটুও পছন্দ করে না। রেগে যায় ও। কেউ রেগে গেলে সবাই তাকে আরো বেশি করে রাগায়।