বাঁশি
আমি বই মেলায় যেতে চাই। বই কিনতে নয়। একটা বাঁশি কিনতে।
গতবারের বাঁশিটা ভেঙে গেছে। জানো? হাতে ঠিকমত বসতো না।
আর বাঁশির তুলনায় আঙুলগুলো আমার খুবই ছোট, বড্ড বেমানান।
একবার আমি হারিয়েছিলাম, বাঁশির সুরে।
গভীর রাতে, পরি আর ডাইনির ভয় উপেক্ষা করে,
হারিয়েছিলাম কোনো তেপান্তরে।
ইথারে ভেসে বেড়ানো সেই সুর,
ছড়িয়েছিলো অনেক দূর।
গ্রাম্যসরলতা নিয়ে থাকে যেই ছেলেটা, তার মনেও যে অবচেতনে লুকিয়ে থাকে হাজারো নীল। কেউ জানে না। জানার প্রয়োজনবোধ করে না। শতশত রাতের সাক্ষী বাঁশি। একাকীত্বের সাথি হয়েছিলাম একদিন।
বীজগনিত অনুযায়ী, বিয়োগে বিয়োগে যোগ হয়, আমরা যোগ হয়েছিলাম।
বাঁশিটা তাকে দিয়েছিলাম। পছন্দ হয়েছিলো নাকি তার। আমি ভেবেছিলাম কিনে নেবো আরেকটা। কিন্তু কিনতে পারিনি। পারিনি আজো। চন্দ্রনা, পারবো কিনা তাও জানি না।
18-02-2016
Comments
Post a Comment