পরাজিত মন

 © ফজুদা

পারবো না তো ডুবতে আমি
পারবো না ঠিক ভাসতে,
পারবো না যে কাঁদতে আমি
পারবো না ঠিক হাসতে।
কেমন হলে লাগবে ভালো
শান্তি সুখে থাকবে মন?
কষ্ট ভুলে কেমন করে
থাকবো ভালো সারাক্ষণ?
সুখের দেখা পেলেও আবার
হারিয়ে ফেলি সুখের ভোগ,
ঘুরেফিরে মনটা আবার
অসুস্থ হয়, ধরে রোগ।
আশায় থাকি; দূর হবে সব
দোদুল্য মন, হতাশ’ কবে?
কখন আমি শক্তি পাবো!
মনটা আমার শান্ত রবে!
সেই যে আমি যুদ্ধ করে
চলছি আজো শক্ত মনে,
মনটা যদি যায়রে ভেঙে!
কাঁদবো তবে নির্জনে?
কাঁদি না রে, কাঁদি না রে,
স্বান্তনা দেই এই আমারে,
রোগা মনে শক্তি জমাই
শক্ত যেমন হয় তামা রে!
বেঁচেই আছি মনের জোরে
স্বপ্নগুলো দেই জোড়া,
মনটা যদি যায়রে মরে
ছুটবে কি আর মনের ঘোড়া?
মনের ক্ষত কেমনে সারাই?
এই আমারে, কেমন রাখি?
ভুলে গিয়ে সকল কিছু
নাটক করে কেমনে ঢাকি?
তারপরও তো নাটক করি
আমিই বড় নাট্যকার,
হেসে হেসেই জিবন কাটাই
এটাই বড় পাঠ্য ’মার।
সোজা কথায় সোজা হিসাব
যেমনে আমি কথা কই
মনের ভিতর প্যাঁচ রাখি না ,
আমার মতই আমি রই।
জিততে আমি চাই না কো আর
শত্রু আমিই আমার,
আমার তো ভাই নাইরে জোর
চাচ্চু, খালু মামার।
পাহাড় সাগর সব মাড়িয়ে
এই সময়ে ক্লান্ত আমি খুব।
আর পারি না, সময় হলো
হেরে গেলেও, দিতেই হবে ডুব।
মন মানে না এদিক সেদিক
মন মানে না যুক্তি,
হারা জেতার লড়াই থেকে
চাই যে পেতে মুক্তি,
যন্ত্রণাটা কেমন কেমন
বুঝেও ঠিক বুঝি না।
তাই তো আমি সুখ বা দুখ
তেমন করে খুঁজি না।
একটি অসম্পূর্ণ কিংবা গেঁজানো টাইপ ছড়া। ঠিক ছড়া না, কিশোর কবিতা। মধ্যরাতের আজাইরা ব্যাপার।
পূর্ণরূপ :
সুখের ভোগ = সুখযুক্ত যে খাদ্য। এখানে সুখকে রূপক অর্থে খাদ্য হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে।
হতাশ’ কবে? = হতাশা কবে?
পাঠ্য ’মার = পাঠ্য আমার

03-07-2017

Comments

Popular posts from this blog

ভালোবাসি

নদী

স্বাধীনতা