আঠাশ


© তারিক ওয়ালি


আমার একটা জগত ছিলো।
এ জগতটাকে কেউ কেউ বলে কল্পনার জগত! 
অবশ্য আমি কল্পনার জগত বলতে পছন্দ করতাম না। আমি আদর করে বলতাম ভালোবাসার জগত। ওখানে হাসি ছিলো, কান্না ছিলো, মান-অভিমান ছিলো, ছিলো মিছে জিদ আর বায়না!
তারপর একদিন সাতাশ শেষ করলো তার ক্ষুদ্র জীবন!
আমি আমার সেই আদরের জগতটাকে ভুলতে শিখতে চাইলাম; ঠিক কাপুরুষের মত। টিকে থাকার স্বার্থে।
অথচ,
মাঝে মাঝে আজকাল বেঁচে থাকার জন্য কাপুরুষ হওয়াটাও বীরত্বের। আগুনে পুড়ে মরার ভয় জেনেও যে আগুনে লাফাতে জানে, সে বীর! আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা যে করে সে কাপুরুষ। মহাকাপুরুষ সে!
সাতাশ শেষ হলো।
আসলো আঠাশ।
তিনশত পয়ষট্টিটি আবর্তন সেরে!
কি অভিমান আর কান্না আঠাশের বুকজুড়ে!
বেদনা, আক্ষেপ আর নানা বর্থ্যতাকে পুঁজি করে একদিন আঠাশ দেখা শুরু করলো ধূঁমকেতু হওয়ার স্বপ্ন! নিভে যাওয়া কয়লায় দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলে লেলিহান শিখা!
জানেন গুরুজী?
এ বয়সে নাকি মানুষ পাহাড়সম হয়।
অনেক যোগ্যতা, পাণ্ডিত্য ও বুকভরা গর্ব নিয়ে মানুষ ভালোবাসে মানুষকে।
পায় ভালোবাসা।
কাপুরুষরা বুক চাপড়ে সরে পরে তার দেখা নির্বোধ পৃথিবীকে।
তারপরও,
আঠাশ আসুক!
আঠাশ আসুক নেমে! বৃত্তের কেন্দ্রে!
কাপুরুষ কিংবা বীর!
আঠাশ আসুক ধূঁমকেতু হয়ে।
অত্যুজ্জ্বল বিভবছটায় আলোকিত হোক, নশ্বর জগত!
যেটাকে আমি পরম ভালোবাসায় যত্ন করে বলতাম
“ভালোবাসার জগত!”
2.16 AM, 09-12-2017

Comments

  1. * সরে পড়ে।
    * ধূমকেতু।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

ভালোবাসি

নদী

স্বাধীনতা