একটি আষাঢ়ে গল্প

যদিও আষাঢ় মাস না। তবে, আষাঢ় মাস হলেও তেমন কিছু হতো না।
গল্পটা ভূতের। তাই একটু ভূমিকা দেওয়া দরকার, মানে ভূতের পরিচয়টা আর কি! ভূতের নাম, উলুবুলু। তার বউয়ের নাম হুলুবুলু। ভূতটা রাত-দুইটা তিনটার দিকে মচমচ কচমচ করে মুড়ি খায়। সেই সাথে চকলেটও। ভূতটার একটা বউ আছে। বউটাও ভূতের মতো।

কোনকোনদিন গভীর রাতে জামাই-বউ ইক্ষু মানে গেন্ডারি চিবোয়। গাছের ডালে বসে, রাজনীতির আলাপ করে। কিভাবে দেশের মানুষগুলো নোংরা রাজনীতির নির্মম শিকার হয়ে তেলাপোকার চেয়ে কুৎসিত জিবন-যাপন করছে, সেটা নিয়ে তারা ইনিয়ে বিনিয়ে কাঁদে। তারপর খিলখিল করে হাসে। মানুষের, বিশেষ করে নারীদের হিংসা আর নারী নিয়ে পুরুষের যুদ্ধের ইতিহাস পড়ে। তারপর তারা আফসুস করে। যাই হোক, ভূমিকা অনেক বড় হয়ে গেছে। এবার মূল গল্পে আসি।

একদিন ভূত মানে উলুবুল একটা কাঁঠাল কিনলো। কাঠাল কিনে, মনের সুখে ঢেং ঢেং করে বাড়ি ফিরলো। এসেই তার বউ মানে, হুলুবুলুকে কাঁঠালটা দিয়ে বললো, “কাঁঠালটা রাখো। আমি গোসল সেরে আসছি। তারপর খাবো।এদিকে হুলুবুলু ভীষণ কাঁঠালের ভক্ত। কাঁঠাল দেখেই জ্বিবে ঠিকঠিক আধা কেজি জল জমা হলো। লোভ সামলাতে না পেরে, কিঞ্চিত কাঁঠাল চেখে দেখি বলতে বলতে, পুরো কাঁঠালটাই খেয়ে ফেললো।  জামাইবাবু মানে উলুবুলু যখন বাড়িতে এসে কাঁঠাল দেখতে পেলো না, তখনই সে তার বউকে সন্দেহ করে বসলো। রেগে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলো। হুলুবুলুও কম চালাক না। সেও গল্প ফেঁদে বসলো। ইনিয়ে বিনিয়ে ম্যা ম্যা করে কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল, নাকের জল, মুখের জল, যাবতীয় জল এক করে ফেললো। তারপর বললো, “দেখো তো আমি কাঁঠালটা খেতে চাই নাই। স্বপ্নে দেখলাম, আমাদের প্রধানমন্ত্রি আর তার প্রতিবন্ধি ছেলে কাঁঠাল চুরি করার জন্যখোঁজইঞ্জিননা কি যেনো একটা বানানোর ধান্ধা করতেসে জানোই তো, এই ক্ষেত্রে মানুষের বুদ্ধি আমাদের চেয়েও অনেক প্রখর তাই খেতে শুরু করলাম কিন্তু তোমার জন্য যে অর্ধেকটুকু রেখে দিসিলাম, সেইটা পাইতাসি না নিশ্চই জাতীয় প্রতিবন্ধির কাজ
 এতবড় গল্প শোনার পর উলুবুল আর কিছুই বলতে পারলো না সে তার সারাজিবনের সঞ্চয় দিয়ে কেনা কাঁঠালের জন্য আফসোস করতে করতে মরে গেলো

Comments

Popular posts from this blog

ভালোবাসি

নদী

স্বাধীনতা